এলাকার খবর

শিক্ষা উপকরণের লাগামহীন দাম : হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা

পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণসমূহের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকমহল। বিশেষ করে কাগজ, খাতা-কলম, পেন্সিল, শার্পনার, ইরেজার, মার্কার, স্ট্র্যাপলার, পিন, ক্লিপ, অফিস ফাইল, ক্যালকুলেটর, কলমের বক্স, স্টিল প্লাস্টিক স্কেল, রংপেন্সিলসহ আনুষাঙ্গিক শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে শিক্ষা উপকরণের এমন মূল্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক লেখাপড়া বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জীবননগরের বিভিন্ন লাইব্রেরিসহ ফটোকপির দোকান থেকে জানা যায়, গেলো প্রায় ৬ মাসে কয়েক ধাপে বই ও খাতার মূল উপকরণ কাগজসহ সব ধরণের শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে এক থেকে দেড়গুণ পর্যন্ত। সমাজের উচ্চবিত্তের মাঝে এসবের প্রভাব বিরক্তিকর হলেও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন সংকটে। ২০-৩২ সাইজের এক রিম নিউজপ্রিন্ট কাগজ ৬ মাস পূর্বে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তার দাম বেড়েছে ১ হাজার ১৮০ টাকা। ২১-৩৪ সাইজের কাগজ ৭৮০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৮০ টাকা, ২২-৩৫ সাইজের কাগজ ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৬৬০ টাকা এবং ৩০-৩৬ সাইজের এক রিম কাগজের দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এনজিও কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই মাস আগে দুই ছেলের লেখাপড়ার জন্য হাফ রিম কাগজ কিনেছিলেন ২৫০ টাকায়। গতকাল শনিবার কাগজ কিনতে গেলে দোকানী দাম চাচ্ছেন ৪৫০ টাকা। এদিকে পড়াশোনার যে খরচ বাড়বে সে অনুপাতে বেতন বাড়বে না। এখন সন্তানদের লেখাপড়ার বাড়তি খরচ নিয়ে চিন্তায় আছি। শহরের মুক্ত লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী মীর মুক্ত বলেন, কাগজ আর জ্বালানি তেলের দাম দুইটাই বেড়েছে। নতুন করে কেউ বই ছাপাইতে গেলে তার খরচ পড়বে আগের চেয়ে অনেক বেশি। বাজারের সব কিছুর দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে শিক্ষা উপকরণে।

রায়পুর-বাড়ান্দী মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাও. হাফিজুর রহমান জানান, কাগজ না পেলে খাতা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বোর্ডে নেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তা না করলে খরচ যোগান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

অভিভাবক আব্দুল হালিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তুকির পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণের ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত। আর তা না হলে অনেক নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনা করা দুরুহ হয়ে পড়বে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটু সমস্যা হবে তবে তা অচিরেই কেটে যাবে।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button