জীবন নগর অফিস: জীবননগ উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে দীর্ঘ দিন প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে মেয়ের মা বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকালে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নূরুল হাফিজের কার্যালয়ে তিনি এক ভ্রাম্যমান আদালতে অপরাধীকে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অনাদায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শাখারিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার মিনাজুল ইসলামের কলেজ পড়–য়া মেয়ে (১৮) কে নাজমুল হুসাইন দীর্ঘ দিন প্রেমের প্রস্তাব ও উত্যক্ত করে আসছিলো। এই বিষয়টি মেয়েটি তার মা বাবাকে জানিয়ে দেয়। মেয়ের মা বাবা ওই বিষয়টির প্রতিবাদ করলে নাজমুল হুসাইন রবিবার রাত তিনটার দিকে মেয়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তা নূরুল হাফিজ বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ অপরাধী নাজমুল হুসাইনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত আদেশ দেন।
কারাদন্ডাদেশের পর নাজমুল হুসাইনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের কাজে সহযোগীতা করেন জীবননগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক সিরাজ।
দৈনিক চুয়াডাঙ্গা, দয়া করে বাংলা বানানের দিকে খেয়াল দিন। ‘অররাধী’ নয়; শব্দটা ‘অপরাধী’। যাহোক, প্রশাসনকে ধন্যবাদ যে অপরাধীর শাস্তি হয়েছে। তবে এই পিঠ চুলকানো শাস্তিতে এদেরকে শোধরানো যাবে বলে ভরসা খুব কম। এদেরকে ঐসব শাস্তির সাথে সাথে অন্ততঃ ৫ থেকে ১০টা চাবুকের ঘা বরাদ্দ করা দরকার। দেশে যতক্ষন এই ধরনের আইন না হবে তত্ক্ষন এ রকম অপরাধের মাত্রা কমবার আশা নেই বললেই চলে। আশংকা হয় যে এই দুষ্ট অচিরেই জেল থেকে বের হয়ে আসবে আর এবারে হয়ত ঐ বাবা-মাকে একেবারেই প্রানে মেরে ফেলবে।